ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তীব্র বৃষ্টিপাত, আর তাতেই ভয়াবহ বিপর্যয়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৪৪০ ছাড়িয়েছে।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের ফলে এখনও কমপক্ষে ৪০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অনেকেই ভূমিধসের কারণে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, আচেহ, উত্তর সুমাত্রা এবং পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারীরা নিখোঁজদের সন্ধানে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে।
এজেন্সির প্রধান সুহারিয়ানতোকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, দুটি শহরকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে কারণ তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সেগুলি হল সেন্ট্রাল টাপানুলি এবং সিবোলগা। তিনি আরও জানান, সোমবার সিবোলগায় জাহাজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আকাশ ও সমুদ্রপথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হলেও বেশ কিছু গ্রামে এখনও পর্যন্ত কোনো সাহায্য পৌঁছায়নি। জানা গেছে, পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পাডাং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে সুঙ্গাই নিয়ালো গ্রামে বন্যার জল কমলেও বাড়ি, যানবাহন ও ফসল ঘন ধূসর কাদার নিচে ঢেকে আছে।
এএফপি’র রিপোর্ট অনুসারে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ এখনও শুরু হয়নি এবং বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসেনি। ৫৫ বছর বয়সী ইদ্রিস বলেন, অধিকাংশ গ্রামবাসী না নিরাপদ আশ্রয়ে না গিয়ে নিজেদের বাড়ি আঁকড়ে থাকতে চেয়েছেন।
ত্রাণের ঘাটতির কারণে সুমাত্রার কিছু এলাকায় মানুষ খাদ্য ও পানির জন্য দোকানে লুটপাট চালাচ্ছে বলেও খবর এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মুখপাত্র ফেরি ওয়ালিংটুকান জানান, লজিস্টিক সাহায্য আসার আগেই এই ঘটনা ঘটেছিল। বাসিন্দারা না জেনে এবং অভুক্ত থাকার আশঙ্কায় এমনটা করেছিলেন।
সূত্র : বিবিসি

