মুন্সীগঞ্জে ‘ভূমিকথা’ নামে পুস্তিকাভিত্তিক জেলা পর্যায়ের চূড়ান্ত কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় একক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবাইদা খাতুন অর্পা। দলগত বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লৌহজং উপজেলার হলদিয়া সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রানার্সআপ হয়েছে টঙ্গীবাড়ীর বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়।
শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা ও সেমিনারে ছয় উপজেলার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। একক বিভাগে চ্যাপিয়ানকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ২৫ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দলগত চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
শনিবার সকাল ১১টায় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষার পর দলগত কুইজ প্রতিযোগিতা, ভূমি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, নাটিকা, অনুভূতি প্রকাশ ও অতিথিদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রস্তুতি ও কয়েক মাসব্যাপী উপজেলা পর্যায়ের বাছাইপর্ব শেষে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।
একক বিভাগে সর্বোচ্চ ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪৭ পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হন অর্পা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, পুস্তিকাটি তাদের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি সেবার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নতুন জ্ঞান দিয়েছে এবং এই জ্ঞান ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কাজে লাগবে বলে তারা মনে করেন।
দলগত বিভাগে উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লৌহজংয়ের হলদিয়া সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। রানার্সআপ হয় টঙ্গীবাড়ীর বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়।
জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত জানান, চলতি বছরের মে মাসে ‘ভূমিকথা’ পুস্তিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করেন। আগস্টে বইটি প্রকাশের পর জেলায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। ছয় উপজেলার প্রায় ১০ হাজার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে বইটি বিতরণ করা হয়। এরপর উপজেলা ভিত্তিক একক ও দলগত কুইজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
এককে চ্যাম্পিয়ন ও দলগতভাবে রানার্সআপ হওয়ায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় প্রশাসন এ সাফল্যকে উপজেলাবাসীর জন্য বড় অর্জন বলে মনে করছেন। শিক্ষকেরা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এমন ইতিবাচক উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।

