জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি

0
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবিতে বরগুনার পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে নৌ–র‍্যালি, নৌবন্ধন ও জলবায়ু ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর নদীর পাথরঘাটার রুহিতা পয়েন্টে এ কর্মসূচি আয়োজন করে জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন। কর্মসূচিতে শতাধিক তরুণ, জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এসমে, সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘ধরা’র পাথরঘাটা সমন্বয়ক ও উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন।

বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি। শিল্প, বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর যুদ্ধ–সহায়তা, নব্যঔপনিবেশিক শোষণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই এ প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব।

কর্মসূচিতে কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারীরা “আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করোনা”, “জলবায়ু সুবিচার চাই”, “জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ কর”, “নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াও”, “ঋণ চাই না—ক্ষতিপূরণ চাই” স্লোগানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

জেলে জাকির হোসেন মুন্সি ও নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা জলবায়ুর জটিলতা বুঝি না, কিন্তু শান্তিতে থাকতে চাই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে চাই না। যাদের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, তাদের কাছেই ক্ষতিপূরণ চাই।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here