সিলেট টেস্টে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ানোর জোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত আর সফল হতে পারেনি আইরিশরা।
বাংলাদেশ দলের স্পিনাররা তাদের সে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। দুই বাঁহাতি স্পিনার মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। হাসান মুরাদ নিয়েছেন ৪টি, তাইজুল ৩টি। এর মাধ্যমে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের এই জয়ের ভিত তৈরি হয়েছিল তৃতীয় দিন। বাংলাদেশ ৩০১ রানের লিড নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আসে আয়ারল্যান্ড। তবে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৮৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট চলে যায় তাদের। তবে পরের ৫ উইকেটে বেশ লড়াই দেখাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত হার মানতেই হয়।
চতুর্থ দিন সকালে শুরুতেই ম্যাথু হাম্প্রেসকে শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে সাদমানের কাছে ক্যাচ বানান তাইজুল। আয়ারল্যান্ডের আটে নামা ব্যাটার জর্ডান নেইল ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিনি ব্যাট থাকতে মনে হচ্ছিল ইনিংস হার এড়িয়ে যাবে সফরকারীরা। তবে হাসান মুরাদের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে সাদমানের দুর্দান্ত ক্যাচে শেষ হয়ে যায় তার ইনিংস। ফলে ২৫২ রানে পতন হয় নবম উইকেটের।
লাঞ্চের পর বেলিংয়ে আসেন নাহিদ রানা। তার দুর্দান্ত বাউন্সারে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ানো ম্যাকব্রাইন বিভ্রান্ত হন। শর্ট মিড উইকেটে হাসান মুরাদের ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায়। এরপর নিজেদের ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের ১৭১, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র ১০০ মাধ্যমে ৫৮৭ রানের বড় পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ লিড নেয় ৩০১ রানের।
ইনিংস ও রানের হিসাবে টেস্টে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জয়। এখন পর্যন্ত টেস্টে তারা চারবার ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ২৮৬ ও ২৫৪ (ম্যাকব্রাইন ৫২, স্টার্লিং ৪৩, বলবার্নি ৩৮; মুরাদ ৪/৬০, তাইজুল ৩/৮৪)
বাংলাদেশ: ৫৮৭/৮ (ডিক্লেয়ার) (মাহমুদুল ১৭১, নাজমুল হোসেন শান্ত ১০০)

