আজ রাত ৮টায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপাল। ফিফা প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই দলের জন্যই ম্যাচটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। বাংলাদেশের জন্য এটি ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতির মঞ্চ, আর নেপালের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ-অভিজ্ঞ তারকা হামজা চৌধুরীর বিপক্ষে প্রথমবার মাঠে নামার রোমাঞ্চ।
নেপাল দলের অধিনায়ক কিরণ চেমজং, তিনি বাংলাদেশ পুলিশ এফসির হয়ে ঘরোয়া লিগে খেলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে উচ্ছ্বাস লুকাননি। তিনি বলেন,’সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে ম্যাচে হামজাকে বাংলাদেশ দলে পাইনি। এবার ঢাকায় এসে তাঁর বিপক্ষে খেলতে পারব, আমাদের পুরো দলই ভীষণ রোমাঞ্চিত।’
নেপাল দলে এবার রয়েছেন আটজন ফুটবলার, যারা চলতি মৌসুমে বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন। দলটির কোচ হরি খাড়কা নিজেও বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে কয়েক মৌসুম খেলেছিলেন। তিনিও স্বীকার করেছেন,’হামজা ও শমিত যোগ দেয়ায় বাংলাদেশের শক্তি বেড়েছে। তবে ফুটবল এক ব্যক্তির খেলা নয়। আমরা প্রস্তুত, হামজাকে মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করেছি।’
বাংলাদেশ সর্বশেষ নেপালকে হারিয়েছিল ঠিক পাঁচ বছর আগে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর। সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ড্র-তে। এবার জয়ের ক্ষুধা স্পষ্ট জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠে,’নেপালের সঙ্গে জিততে হবে। গত দুই ম্যাচে কাছাকাছি গিয়েছি, এবার জয়ই লক্ষ্য।’
তবে ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় আলোচনা হামজা চৌধুরী ও কানাডা থেকে ফেরা সমিত সোমকে ঘিরে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছেন, সমিতের খেলার বিষয়টি শেষ মুহূর্তে ঠিক হবে, আর চোটে থাকা শেখ মরছালিনকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
কাবরেরা বলেন,’ভারতের ম্যাচের আগে নেপাল ম্যাচটা নিজেদের যাচাই করার সুযোগ। জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’

