কানাডার টরন্টোর বাংলাদেশ সেন্টার ও কমিউনিটি সার্ভিসেসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশিষ্ট শিল্পী ওয়াহিদ আসগারের একক চিত্র প্রদর্শনী।
‘Silver Years: A Celebration’ শিরোনামের এই দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে শিল্পীর বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা ৭৩টি চিত্রকর্ম স্থান পায়, যার মধ্যে ছিল ওয়াটার কালার, এক্রোলিক, কোলাজ ও অয়েল প্যাস্টেল মাধ্যমের কাজ।
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কানাডার প্রাক্তন ফেডারেল মন্ত্রী ও টরন্টোর বিচেস–ইস্ট ইয়র্কের লিবারেল নেতা মারিয়া মিন্না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্ক্যারবরো সাউথওয়েস্টের এমপিপি ডলি বেগম ও বিচেস–ইস্ট ইয়র্কের এমপিপি ম্যারি মার্গারেট ম্যাকমোহন।
উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন চিত্রশিল্পী তাজউদ্দিন, চলচ্চিত্র লেখক ইকবাল করিম হাসনু, সংগীতশিল্পী ও সমাজসেবক শহীদ খন্দকার টুকু, সোনিয়া জামান, এবং তসলিমুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাহেলা খাতুন।
শিল্পীর জীবন ও সৃজন নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন তাঁর ছোট ভাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. শওকত হুসেন।
ওয়াহিদ আসগার, ১৯৪০ সালের ২২ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা সেন্ট গ্রেগরী’স স্কুল, নটরডেম কলেজ ও বুয়েটে শিক্ষা শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে যোগ দেন এবং দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
সত্তরের দশক থেকেই তিনি অবসরে ছবি আঁকতে শুরু করেন। প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও তাঁর চিত্রকর্মে প্রকাশ পায় গভীর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নান্দনিক সংবেদন। ২০১৪ সালে স্ত্রী লাইলী ওসমানের (কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের কন্যা) মৃত্যুর পর থেকে চিত্রকলা তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
তার প্রিয় শিল্পী জয়নুল আবেদীন ও ভিনসেন্ট ভ্যান গগ; অনুপ্রেরণার উৎস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভ্রমণ তাঁর আরেক নেশা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ানো।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, চিত্র প্রদর্শনীতে বিক্রিত সব চিত্রকর্মের আয় তিনি বাংলাদেশ সেন্টারের সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে দান করবেন।

