কিছু অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিমেইল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্কও করেছে গুগল। এতদিনের যে নিয়ম বহাল ছিল, তার সময়সীমা ২০২৩ সালে থেকে পরিবর্তন হয়েছে। চলতি মে মাসেই এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে গুগল।
এতে বলা হয়, কোনও ব্যক্তির যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, কিন্তু তিনি যদি দুই বছরের বেশি সময় ধরে সেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে গুগল কর্তৃপক্ষ সেই অ্যাকাউন্টগুলো মুছে দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য উপলব্ধ থাকা নীতিতে একটি সংশোধনী ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। ব্যবহারকারীদের জিমেইল অ্যাকাউন্ট প্রত্যেক ২৪ মাস অন্তর অন্তত একবার করে লগ ইন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকলের পুরানো গুগল অ্যাকাউন্টগুলো পরীক্ষা করার পরামর্শও দিয়েছে গুগল। গুগলের একটি নিয়ম আগে থেকেই প্রযোজ্য ছিল যে, অ্যাকাউন্টগুলোর ডেটা, যা দুই বছর ধরে ব্যবহার করা হয়নি, তা সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হতে পারে, কিন্তু সেই নিয়মে এখন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নতুন নীতি কার্যকর হবে না। এর মানে হল, যে ব্যবহারকারীরা জিমেইল-এ সক্রিয় নন, তাদের এখনও নিজেদের পুরানো অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার সময় আছে। ব্যবহারকারীদের পূর্ববর্তী লগইন তথ্যগুলো পুনরুদ্ধার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বা মুছে ফেলার পদ্ধতি সম্পর্কে আরও তথ্য উপলব্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় থামিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মুছে ফেলা জিমেইল অ্যাকাউন্টগুলো আর পুনরুদ্ধার করা যাবে না।
গুগল বিভিন্ন ধরনের আচরণের উপর ভিত্তি করে অ্যাকাউন্টের কার্যকলাপ ট্র্যাক করে, যার মধ্যে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা, ইউটিউব ভিডিও দেখা, গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা, অনুসন্ধান করা বা যেকোনও অ্যাপ বা পরিষেবাগুলোর জন্য গুগল-এর সাথে সাইন ইন করা। সেগুলোর সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নতুন নীতি চালু হওয়ার পরে গুগল এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে ফোকাস করা শুরু করবে, যেগুলো খোলা হয়েছিল, কিন্তু আর কখনও ব্যবহার করা হয়নি। নিষ্ক্রিয় গুগল অ্যাকাউন্টগুলোর একেবারে বাতিল হয়ে যাওয়া এড়াতে, ব্যবহারকারীদের অবশ্যই গুগলের পরিবর্তিত নীতিগুলো সম্পর্কে আপডেট রাখতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, দ্য ভার্জ