পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আরো ৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের সাক্ষ্য শুনেছেন। তাদের সাক্ষ্য শেষে আগামী ৩ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করেছে আদালত।
দুদক প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাক্ষীরা হলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব জহিরুল ইসলাম খান, অগ্রনী ব্যাংকের রাজউক ভবন শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক লায়লা নূর বেগম ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক ধীরাজ চন্দ্র বর্মণ ও আফনান জান্নাত কেয়া এবং দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সোহানুর রহমান বলেন, এক মামলায় চারজন, আরেক মামলায় তিনজন এবং অপর এক মামলায় একজন সাক্ষী দিয়েছে।
গত ৩১ জুলাই এ তিন মামলাসহ পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গঠন করেন আদালত।
তিন মামলায় গত ১১ অগাস্ট প্রথম দিনে তিন মামলার তিন বাদী, ২৬ অগাস্ট পৃথক তিন মামলায় ১৭ জন এবং তৃতীয় দিন ২ সেপ্টেম্বর ১৮ জন, ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ জন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ৯ জন এবং ১৫ অক্টোবর ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
এসব মামলার শেখ পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন-শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এই ছয় মামলা করে দুদক। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

