হামাস সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে। এমন অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দেওয়া বিবৃতি ইসরায়েলি প্রপাগান্ডা বলে অভিহিত করেছে হামাস।
রবিবার এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ মিথ্যা। তাদের ‘বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য’ ইসরায়েলি প্রোপাগান্ডার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব অভিযোগ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান দখলদারিত্ব ও আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আড়াল তৈরির প্রচেষ্টা। এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা করেনি হামাস। ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করতে চায় না তারা।
হামাস যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতকে ইসরায়েলের পাঠানো তথ্য বলে ইঙ্গিত করেছে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলের বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়। বরং আর যেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন না করে সেদিকে মনোযোগ দেয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছিল, হামাস কোনো হামলা করলে তা হবে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মারাত্মক লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে গাজার সাধারণ মানুষদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলেও জানায়।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। নানান অজুহাতে যুদ্ধবিরতির পর থেকে ২৮ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে ফিলিস্তিনের একটি ভিডিয়োতে আটজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ডের আদলে হত্যার দৃশ্য দেখা যায়। ফুটেজে মুখোশ পরা একদল সশস্ত্র ব্যক্তি আটজন মানুষকে হত্যা করেছিল। হত্যাকারীদের মাথায় হামাসের সবুজ পট্টি বাঁধা ছিল। সূত্র: আল-জাজিরা