জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

0
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্র পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জিএসপি প্লাস স্কিমের আওতায় অব্যাহত বাজার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণ হল্যান্ড প্রদেশের শহর হেগে অনুষ্ঠিত এ সভায় পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব ক্রিস্টিয়ান রেবার্গেন নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

হেগে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে এত্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উভয় দেশের প্রতিনিধিদল শান্তি ও উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের জন্য ডাচ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার লক্ষ্যে সংস্কারমূলক উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  

ডাচ পক্ষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুসংহত করার এবং তার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করে।

উভয় প্রতিনিধিদল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগ এবং যৌথ উদ্যোগ প্রচার এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন সুযোগ অন্বেষণের উপায় নিয়ে আলোচনা করে। বাংলাদেশ পক্ষ এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে ইইউ-এর জিএসপি+ প্রকল্পের আওতায়, অব্যাহত বাজার প্রবেশ সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সহায়তার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষ কৃষি, টেকসই জ্বালানি, বন্দর ও সরবরাহ অবকাঠামো, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙার পাশাপাশি ডিজিটাল রূপান্তরে সহযোগিতা সম্প্রসারণের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছে।

সভায় শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান বিনিময়ে অংশীদারিত্ব জোরদার করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। উভয় প্রতিনিধিদল গাজার ক্রমবর্ধমান শান্তি প্রক্রিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের বিষয়ে মতবিনিময় করেছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান অর্জনের প্রচেষ্টায় নেদারল্যান্ডসের টেকসই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। উভয় পক্ষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য সাহায্য, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের ওপরও জোর দেয়। উভয় পক্ষ পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়সূচিতে আগামী বছর ঢাকায় পরবর্তী বৈঠক করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here