মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনার জন্য সিআইএ’কে অনুমতি দিয়েছেন। একই সাথে তিনি মাদক চোরাচালান বন্ধের অজুহাতে দেশটিতে স্থল হামলার পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন। তবে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছেন কিনা এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ১৮ শতকের বিদেশি শত্রু আইনের মতো আইন ব্যবহার করে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভেনিজুয়েলা অভিবাসী এবং অপরাধী গোষ্ঠী পাঠিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ চালিয়েছে।
যদিও ট্রাম্পের এই ধরনের দাবির পক্ষে খুব কম প্রমাণই রয়েছে। তাঁর নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এই অভিযোগের বিপরীত মূল্যায়ন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, গত মে মাসে প্রকাশিত একটি মার্কিন প্রতিবেদনে দেখা যায় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মাদুরোকে ‘ট্রেন ডি আরাগুয়া’ এর মতো অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাননি। তবে ট্রাম্প বারবার এমন দাবিই করে এসেছেন। তা সত্ত্বেও, বুধবার ট্রাম্প ফের ভিত্তিহীন এই অভিযোগ তোলেন যে মাদুরোর অধীনে ভেনিজুয়েলা বন্দি এবং মানসিক অসুস্থতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, অনেক দেশই এটা করেছে, কিন্তু ভেনিজুয়েলার মতো নোংরাভাবে কেউ করেনি।
ভেনিজুয়েলায় সিআইএ অভিযানের অনুমোদন ট্রাম্পের এমন একাধিক গোপন ঘোষণার সর্বশেষ ইঙ্গিত, যা জনসমক্ষে শান্তির কথা বললেও গোপনে মারাত্মক সামরিক পদক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করছে। এর আগে, আগস্ট মাসে কিছু অজ্ঞাত সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানায় যে ট্রাম্প মাদক পাচারকারী চক্র এবং অন্যান্য লাতিন আমেরিকান অপরাধী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে অনুমোদন দিয়েছেন। অক্টোবর মাসে ট্রাম্প কংগ্রেসকে একটি মেমোতে জানান যে যুক্তরাষ্ট্র মাদক চক্রগুলির সঙ্গে একটি অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে এবং তিনি তাদের অবৈধ যোদ্ধা হিসাবে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: আল জাজিরা