বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ‘জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ’ শুরু

0
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ‘জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ’ শুরু

দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও প্রায় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়া স্কোয়াশ খেলায় নতুন প্রাণ আনতে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে শুরু হয়েছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫’। 

জমকালো আয়োজনে সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই চার দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন আঞ্চলিক পর্যায় থেকে বাছাইকৃত রেকর্ডসংখ্যক ১৮০ জন স্কোয়াশ খেলোয়াড়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত হয়েছেন ৮০ জন।

এদিন বিকেলে প্রতিযোগিতার মূল পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি খেলোয়াড়দের জার্সি উন্মোচন এবং বেলুন উড়িয়ে আসরের শুভ সূচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গত চার বছরে বাংলাদেশের স্কোয়াশ অনেকদূর এগিয়েছে। নিয়মিত এই ধরনের জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনই প্রমাণ করে আমাদের স্কোয়াশের সুদিন আসছে। ’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্কোয়াশ ফেডারেশনের নিজস্ব কমপ্লেক্স না থাকায় সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির আধুনিক অবকাঠামো ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে ফেডারেশন।

এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কোয়াশকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি ও তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা অর্জনের দিকেই আমরা কাজ করছি। ’

উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই আসরকে ঘিরে আশাবাদী পৃষ্ঠপোষকরাও। উর্মি গ্রুপের পরিচালক ফায়েজ রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে মৃতপ্রায় স্কোয়াশ খেলাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে উর্মি গ্রুপ নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করে। আমরা আগামীতেও ফেডারেশনের পাশে থাকবো। ’

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদানের কথা উল্লেখ করে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মহসিনুল করিম বলেন, ‘দেশের স্কোয়াশ খেলাকে আবার জীবিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ খেলাটিকে এগিয়ে নিতে পাশে থাকবো। ’

এবারের প্রতিযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের একটি বড় অংশ এসেছে কালশী, ভাষানটেক ও রজনীগন্ধার মতো সুবিধাবঞ্চিত এলাকা থেকে। সমাজের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তাদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, স্কোয়াশ বাংলাদেশে গণমানুষের খেলা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here