আর্থিক সংকটে পড়েছে বৈশ্বিক সংস্থা জাতিসংঘ। এ কারণে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সংস্থাটি ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনী কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন যে পরিমাণ শান্তিরক্ষী আছেন তার এক চতুর্থাংশ কমানো হবে।
জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা জানান, এ পরিকল্পনায় ১৩,০০০ থেকে ১৪,০০০ সেনা ও পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। একই সঙ্গে অনেক বেসামরিক কর্মীর চাকরিও হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। মোট বাজেটের প্রায় ২৬ ভাগ দেয় তারা। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তারা দেয় প্রায় ২৪ ভাগ অর্থ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে জাতিসংঘে তাদের ২.৮ বিলিয়ন ডলার বকেয়া রেখেছে। ফলে অর্থের বড় রকম টান দেখা দিয়েছে। নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগেই দেশটির ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। আর এখন আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে তার সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে। তবে দেশটির জাতিসংঘ মিশন এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত আগস্টে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০০ মিলিয়ন ডলার শান্তিরক্ষা তহবিল একতরফাভাবে বাতিল করেন। তার প্রশাসনের বাজেট দফতর ২০২৬ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সব তহবিল বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে। কারণ তাদের মতে মালি, লেবানন এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মিশনগুলো ব্যর্থ হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে প্রভাবিত হবে দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত এলাকা (ইসরায়েল-সিরিয়া সীমান্ত) এবং আবিয়াই (দক্ষিণ সুদান-সুদান সীমান্তবর্তী প্রশাসনিক অঞ্চল) এলাকার শান্তিরক্ষী মিশন। সূত্র: রয়টার্স