ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে গেছে। আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। আসতে শুরু করেছে পর্যটক। দর্শনীয় স্থানগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠিান খুলে বসেছে।
সৈকতে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণে ফুটে উঠেছে আল্পনা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝিনুক আর সবুজ প্রকৃতির নিজস্ব খেয়ালে সাগরকন্যা পেয়েছে ভিন্ন রূপ। প্রায় দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। তাই পর্যটকরা কুয়াকাটায় বারবার ছুটে আসেন।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব বলেন, প্রতি বছর কমবেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে উপকূলীয় এই এলাকায়। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষেত্রেও সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, পর্যটকরা কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছে। তবে শুক্র ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটক বেশি হয়। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষনিক কাজ করছে।