দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল কাতারে আর কোনো হামলা চালাবে না। তবে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে অন্য ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে ইসরায়েল।
সোমবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, অনেকে জানেন না, কাতার আমাদের কতটা ভালো বন্ধু। তারা (ইসরায়েল) কাতারে আর আঘাত করবে না। তবে হয়তো তাদের (হামাস নেতাদের) পিছু নেবেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানরত হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার সময় হামাসের রাজনৈতিক শাখার কয়েকজন শীর্ষ নেতা কাতারে অবস্থান করছিলেন।
ট্রাম্পের বক্তব্য কিছুটা অস্পষ্ট হলেও বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারে সরাসরি হামলা না চালিয়ে বিকল্প উপায়ে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছিল, দোহায় হামলার আগে নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প এ দাবি অস্বীকার করে বলেন, না, তারা আমাকে জানায়নি। আমি এই হামলার খবর আপনাদের মতো করেই জেনেছি।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে ওড়ার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছিল। ফলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ ছিল না।
ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে। হামলার পরদিন সোমবার দোহায় অনুষ্ঠিত আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জরুরি সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন।
বৈঠকে নেতারা ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং সতর্ক করে বলেন, কাতারে ইসরায়েলি হামলা গোটা অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তারা আঞ্চলিক ঐক্য এবং সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।