ঘূর্ণিঝড় মোখা; রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

0

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ঝূঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। যাতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে পাহাড়ের উপরে ও পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। এর জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশে-পাশের নিকটবর্তী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রস্তুতি নিয়েছে জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ  রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছ্বাসেবক, রেডক্রিসেন্টসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, পুলিশ সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি মেডিকেল টিম ও মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাৎক্ষণিক কাজ করবে ‘সাইট ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ’।

অতিরিক্ত শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা শিবিরের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরিভাবে সরবরাহের জন্য ত্রিপল, বাঁশ, সুতলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব উপকরণ সরবরাহ করা হবে। 

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ভূমিধস কিংবা বন্যা দেখা দিলে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সংস্থা সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here