কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বৈষম্য, যা বললেন জাস্টিন ট্রুডো

0

কানাডার স্বদেশী শিক্ষার্থী ও বিদেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র মধ্যে রয়েছে বিরাট ব্যবধান। একই কোর্সে বৈষম্য দূরীকরণে কানাডা সরকারের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না, তার জবাব দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

গত পাঁচ বছরে কানাডায় অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের এক বছরে টিউশন ফি প্রায় ৩৬,১০০ ডলার, সেখানে কানাডিয়ান ছাত্ররা ব্যয় করে মাত্র ৬,৮০০ ডলার।

তিনি বলেন, কানাডিয়ান যারা দেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কেবল তাদের জন্যই শিক্ষা ব্যবস্থা সাশ্রয়ী করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের এবং কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ টিউশন ফি’র বিনিময়ে কি কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সাশ্রয় করতে চান, এমন একজন শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। আবার প্রশ্নটিকে নাকচও করে দেননি।

উল্লেখ্য, ট্রুডো সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। এর মধ্যে কাজের সুবিধা বৃদ্ধি, কাজ করে টিউশন ফি যোগানের ব্যবস্থা এবং পরবর্তী সময়ে নাগরিকত্ব অর্জনের সুবিধাও রয়েছে।

কানাডার এ বি এম কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. মো. বাতেন বলেন, পৃথিবীর লাখ লাখ লোক কানাডায় আসার জন্য তাদের সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এই দেশে যদিও বিদেশি ছাত্রদের জন্য টিউশন ফি বেশি, তারপরও এদেশের সরকার তাদের পড়াশোনা শেষে দেশটিতে থাকার একটা সুযোগ দিয়েছে।

কলামিস্ট ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ২০ কর্ম ঘণ্টার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করে, অনির্দিষ্ট সময় কাজ করার সুযোগ, পড়াশোনা শেষে স্থায়ী অভিবাসনের নীতিমালার সহজীকরণের কারণে কানাডার প্রতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার দেব নাথ বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যেন টিউশন ফি আরেকটু কমানো হয়, যাতে করে আমাদের পরিবারের পক্ষে পড়ালেখার ব্যয় বহন করা আরেকটু সহজ হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here