ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর

0
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর

যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া যায়, তা নিয়ে সক্রিয় আলোচনা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সামরিক পরিকল্পনাকারীরা। 

মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তারা ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তারা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই এসব আলোচনার গতি বেড়েছে। তবে এখনও অনেক প্রশ্ন অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা

সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, পেন্টাগন বর্তমানে শুধু অস্ত্র সরবরাহ নয়, বরং অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার পরিকল্পনা করছে। একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা পাঠানো হতে পারে। তবে এ বাহিনী ন্যাটোর অধীনে নয়, নিজ নিজ দেশের পতাকা নিয়ে কাজ করবে। এদের কমান্ড ও কন্ট্রোল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকবে।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়েছে, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ন্যাটো দেশের সেনা মোতায়েন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

আকাশপথে সহায়তার ইঙ্গিত

ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সেনা যাবে না। তবে মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আকাশপথে সহায়তার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ইউরোপীয়রা নিরাপত্তার জন্য সেনা পাঠাতে প্রস্তুত, কিন্তু আমাদের মতো ক্ষমতা তাদের নেই। আমরা উড়োজাহাজের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারি।

যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে আকাশপথে সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে পারে বা ফাইটার জেট দিয়ে নো-ফ্লাই জোন বজায় রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ন্যাটোর বৈঠক ও পশ্চিমা উদ্বেগ

ন্যাটোর সামরিক প্রধানরা বুধবার ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন। সেখানে ইউক্রেনের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে উঠে আসবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ার ফোর্স জেনারেল অ্যালেক্সাস গ্রিনকিউইচ বৈঠকে ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন আলাস্কা বৈঠকের বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জানাবেন। এছাড়া জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনও বৈঠকে যোগ দেবেন।

ট্রাম্প ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দ্রুত অবসান চান। তবে কিয়েভ ও পশ্চিমা জোটের আশঙ্কা, তিনি হয়তো রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনের ওপর কোনও সমঝোতা চাপিয়ে দিতে পারেন। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here