দেশে প্রতি বছর নয় হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে বলে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে জানানো হয়েছে।
সোমবার দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগ ও শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ পৃথকভাবে র্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করে।
এছাড়া শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘সচেতন হই, প্রচার করি, যত্ন নিই, থ্যালাসেমিয়ার সচেতনা বৃদ্ধি করি, চিকিৎসায় বৈষম্য দূর করি’।
সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ বর ও কনে উভয়েই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।
সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জিন থেরাপি, স্টেম সেল থেরাপি এ ধরনের চিকিৎসাসেবার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য শারফুদ্দিন বলেন, রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য যাতে দেশের বাইরে যেতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসব কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দিন শাহ, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ প্রমুখ।