চান্দু স্টেডিয়াম ইস্যুতে মুখোমুখী বিসিবি-জেলা ক্রীড়া সংস্থা

0

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মালামাল ও লোকবল প্রত্যাহার করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জেলাবাসী। জেলার ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াপ্রেমী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিসিবির এই সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে মনে করছেন।

এদিকে বিসিবির আনা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা।বিসিবির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্টেডিয়ামের সামনে আজ শুক্রবার বিকালে ক্রীড়া সংগঠকরা মানববন্ধন করেছেন।

বিসিবির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে একটি প্রতিবাদপত্র বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়। সে প্রতিবাদপত্রে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন বলেন, ‘দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো বগুড়ার স্টেডিয়ামের সংস্কার, উন্নয়ন বা আন্তর্জাতিক মানের কোন খেলা ১৬ বছরেও দিতে পারেননি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিসিবি বগুড়া ভেন্যুতে বিভিন্ন খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা জেলার একমাত্র ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে অগ্রগতি করেছে। এই জেলা থেকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, স্কুল ক্রিকেট, জেলা ক্রিকেট দল, মহিলা ক্রিকেট দল একটি ভালো পর্যায়ে অবস্থান করছে এবং বগুড়ার খেলোয়াড়রা জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গ্রুপে যখন অবদান রেখে যাচ্ছে তখন আপনারা বলছেন অসহযোগিতা।’

অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই ২ মার্চ সকাল থেকে বগুড়া স্টেডিয়ামে থাকা বিসিবির পিচ রোলার, পিচ কাভার, ত্রিপল, তাঁবু, নেট, অন্যান্য সরঞ্জাম ট্রাকে তোলা হয়। এগুলো মালামাল ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে বগুড়ায় ক্রীড়ামোদীদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের বিসিবির ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল জানান, নির্দেশমতে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে থাকা বিসিবির সব মালামাল ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বগুড়ায় কর্মরত বিসিবির ১৭ জনকে ঢাকায় দ্রুত রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

বিসিবি সূত্র জানায়, বিসিবি ৮ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ায় চার দিনের তিনটি ম্যাচ আয়োজন সূচি তৈরি করে। সূচি অনুযায়ী ৬ মার্চ টিমগুলো বগুড়ায় এসে ৭ মার্চ থেকে অনুশীলন শুরু করার কথা। কিন্তু ১ মার্চ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করায় বিসিবির সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্টেডিয়াম ব্যবহারে অনড় অবস্থান নেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এতে বিসিবি তার পূর্ব নির্ধারিত তিনটি চার দিনের ম্যাচ অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বগুড়া থেকে বিসিবি সব স্টাফ ও স্টেডিয়ামে ব্যবহৃত মালপত্র ঢাকায় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন জানান, ‘বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তাদের ভিতরের ব্যাপার। কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংস্থা অসহযোগিতা করেছে এটি মেনে নিতে পারছি না। বিসিবির সকল কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন কাজে কমতি রাখা হয়নি। তারপরও বিসিবি থেকে এমন অভিযোগ মেনে নেওয়া কষ্টকর।’

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here