ক্ষুধার্ত ছিলেন তাই জাদুঘরে শিল্পকর্মের জন্য রাখা কলা খেয়ে ফেললেন শিক্ষার্থী

0

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য লাগানো শিল্পকর্ম থেকে পাকা কলা নিয়ে খেয়ে ফেলেছেন এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে। 

জিজ্ঞসাবাদে ওই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, সকালের খাবার না খেয়ে বের হওয়ায় তিনি ক্ষুধার্ত ছিলেন। এ কারণেই তিনি ডাক্ট-টেপ দিয়ে আটকে রাখা কলাটি খুলে খেয়ে ফেলেছেন। পরে তিনি কলার খোসাটি আবার সেখানে সেঁটে দেন। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, খেয়ে ফেলা কলাটির জায়গায় পরে নতুন আরেকটি কলা আটকে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে  জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করবে না। এমনিতেও প্রদর্শনীর ওই কলাটি দুই-তিন দিন পর পর বদলে ফেলা হয়।

খবর অনুসারে, নো হুই-সু নামের ওই শিক্ষার্থী যখন কলাটি খাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন। এক মিনিটের মধ্যেই তিনি কলাটি খেয়ে ফেলেন। পরে অনলাইনে  তিনি ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেন।

ভিডিওতে তাকে উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশে ‘এক্সকিউজ মি’ বলে কলাটির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। শিল্পকর্ম থেকে কলা খুলে খেতে শুরু করলে উপস্থিত লোকজন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খাওয়া শেষে তিনি কলার খোসার পাশে কিছুক্ষণের জন্য স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে আবার চলে আসেন।

সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র নো হুই-সু পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলানের এই শিল্পকর্মকে তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবে দেখেন। কিন্তু বিদ্রোহের বিরুদ্ধেও আরেকটি বিদ্রোহ হতে পারে।

এদিকে শিল্পকর্ম খেয়ে ফেলার ঘটনা সম্পর্কে এর শিল্পী ক্যাটেলান বলেন, ‘কোনো সমস্যা নেই।’

শিল্পী ক্যাটেলানের শিল্পকর্মে পাকা কলার ব্যবহার এটাই প্রথম নয়। আর সেই কলা খেয়ে ফেলার ঘটনাও আগে আরেকবার ঘটেছিল। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে তার বিক্রি হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের শিল্পকর্ম থেকে পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড দাতুনা একটি কলা খেয়ে ফেলেছিলেন। সেবারও শিল্পকর্ম নষ্ট করার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলা হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here