আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস বা মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে শ্রমিক-জনতা সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে ১২ দলীয় জোটের অন্যতম ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।
মে দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করে এনডিপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম একটা আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যা থেকে এই দেশ ও দেশের প্রশাসন অনেক দূরে। সরকার এখন আর জনগণের কথা ভাবে না তারা যে করেই হোক ক্ষমতায় থাকার জন্য সব কিছু করতেই ব্যস্ত। এখন সময় এসেছে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করে শ্রমিক-জনতার দাবি আদায় করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী মুক্তিযোদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় রাসূল (সা.) বলেছিলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরি দিতে হবে কিন্তু এখন ঈদের আগে বেতন বোনাসের জন্য শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে-আন্দোলন করে মজুরি আদায় করতে হয়। যদি দেশে নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে ভোটাররা ঈমানদার প্রার্থীদের জয়ী করে মহানবীর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারবে।
এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের বলেন, এই সরকার একটা গণবিরোধী সরকার, এই সরকারকে হটাতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে শ্রমিক-জনতা সমতার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনো অধিকার আদায় হবে না। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আজ মানুষ যেভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে তা আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই সবাইকে এক সাথে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে।
এনডিপি মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল) বলেন, ১৮৮৬ সনের শ্রমিক আন্দোলন একদিনে হয়নি। দাবি আদায়ে শ্রমিকদের বছরের পর বছরের পুঞ্জীভূত আন্দোলন ও চেষ্টাই ১ মে চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল। তাই আমাদেরকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে এই বছরেই রাস্তায় নেমে গণ-আন্দোলন করতে হবে। নতুবা আরো ৫/১০ বৎসর বা অধিক সময় এই শোষক সরকার দ্বারা শোষিত হতে হবে। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ তারা বিদেশে পাচার করবেন আর আমাদেরকে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে হবে।