নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৮ মাস সুন্দরবন উপকূলে ইলিশের প্রজনন মৌসুমসহ জাটকা আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মোংলার ১ হাজার ১০ জন নিবন্ধিত জেলে নদীতে মাছ ধরতে পারেনি। সরকারের পক্ষ থেকে এই ৮ মাসে দুই দফায় জেলেদের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে ১৬০ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে। সরকার চাল বরাদ্দ দিলেও মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের নিবন্ধিত ২৭০ জন জেলে এখনও প্রথম দফারই চাল পায়নি।
মোংলা উপজেলা জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, মোংলার ১ হাজার ১০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকার জেলেদের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে সর্বমোট দুই দফায় এক লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে। প্রথম দফায় জেলেদের চাল দেওয়া হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফার চালও ঈদের দুই সপ্তাহ আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকার জেলেরা দ্বিতীয় দফার চালও পেয়েছেন। চাঁদপাই ইউনিয়নের ২৭০ জন জেলে এখনও প্রথম দফার চাল পায়নি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানর এখনো দেয়নি। তাকে একাধিকবার বলা হলেও তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তার গাফিলতিতে অসহায় জেলেরা প্রতিদিন মৎস্য অফিসে এসে অভিযোগ করছেন।
দক্ষিণ কাইনমারীর জেলে শিমন বিশ্বাস ও কিতর বাড়ই জানান, নিষেধাজ্ঞায় প্রনোদনার চাল না পেয়ে এখন তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অবিলম্বে সরকারিভাবে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পেতে চান তারা।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপকংর দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, এখনই চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যানকে বলে জেলেদের চাল দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার জেলেদের চাল দিয়ে দেব।