কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া থেকে অপহৃত জসিম উদ্দিন ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে ৯ দিন পর ছাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে ১৫ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
টেকনাফ বাহারছড়ার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে জসিম উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।
রাতে সন্ত্রাসীরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাস্তার মাথায় মুদির দোকান থেকে জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অপহরণের পর সন্ত্রাসীদের পক্ষে থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও বার্তা পাঠানো হয়। অবশেষে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেন। তার শরীরের বিভিন্ন ধরনের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে বর্তমানে চট্টগ্রামে নিয়ে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি পুলিশকে। তবে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরেরও বেশি সময় টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।