কেনজাবুরো ওয়ে, জাপানের কিংবদন্তিতুল্য লেখক। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। গত ৩ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
তার বইয়ের প্রকাশনী সংস্থা ‘কোডানশা’ এই তথ্য জানিয়েছে।
১৯৯৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। বিচারকেরা তার উপন্যাসগুলোকে ‘রহস্যময়ভাবে কাব্যিক’ হিসেবে প্রশংসা করেন।
১৯৩৫ সালে জাপানের শিকোকু দ্বীপের এক গ্রামে জন্মগ্রহন করেছিলেন কেনজাবুরো। তার পরিবারের জমিজমার অভাব ছিল না, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ভূমি পুনর্গঠন হলে বেশিরভাগ সম্পত্তি হারায় পরিবারটি।
যুদ্ধ যখন শেষ হলো, তখন তার বয়স কেবল ১০। জীবনের প্রথম দশক যুদ্ধের আবহেই কাটাতে হয়েছিল কেনজাবুরোকে।
তার অনেক গল্প ও প্রবন্ধেই জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা ঘটনার কথা উঠে এসেছে। দ্য সাইলেন্ট ক্রাই-এ জাপানি সমাজের ওপর যুদ্ধের প্রভাবকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। নোবেল কমিটি কেনজাবুরোর এ বইকে তার মাস্টারপিস হিসেবে অভিহিত করেছে।
হেনরি মিলার একবার কেনজাবুরোকে দস্তয়েভস্কির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তার বইয়ের অনুবাদক জন নাথানের ভাষ্যে সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে কেনজাবুরো তার নিজের মতো একটি ভাষা তৈরি করে নিয়েছিলেন।
১৯৫৮ সালে কেনজাবুরোর প্রথম উপন্যাসিকা শিকু প্রকাশিত হয়। ২৩ বছর বয়সে লেখা ওই বই তাকে আকুতাগাওয়া পুরস্কার এনে দিয়েছিল। একই বছরেই নিজের প্রথম উপন্যাস মেমুশিরি কোউচি প্রকাশ করেন তিনি।
১৯৬০-এর দশকে হিরোশিমা নোটস নামক এক প্রবন্ধ সংকলনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান কেনজাবুরো। পারমাণবিক বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের যত্ন নেওয়া মানুষেরা ছিলেন হিরোশিমা নোটস-এর মূল প্রতিপাদ্য। সূত্র: বিবিস, দ্য গার্ডিয়ান, এনপিআর, সিএনএন