বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-কক্সবাজারসহ দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছে। নতুন ভাড়া শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
এবার সরাসরি টিকিটের দাম না বাড়িয়ে ‘পন্টেজ চার্জ’ বা অতিরিক্ত মাশুল আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এতে আসন ও রুটভেদে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-জামালপুর ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে মোট ১১টি সেতুর জন্য এই চার্জ নেওয়া হয়েছে। পন্টেজ চার্জ মূলত সেতু বা সমজাতীয় স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটানোর জন্য নেওয়া হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের স্নিগ্ধা আসনের ভাড়া ২০১২ সালে ৫৮৫ টাকা ছিল; ২০১৬ সালে বেড়ে ৭২৫ টাকা এবং ২০২৪ সালে ৮৫৫ টাকা। নতুন পন্টেজ চার্জের পর এখন ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৯৪৩ টাকা।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেসের স্নিগ্ধা আসনের ভাড়া ১,৩২২ টাকা থেকে বেড়ে ১,৪৪৯ টাকা, আর এসি বার্থ ২,৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২,৬৫৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন,‘সব রুটে নয়, নির্দিষ্ট কিছু রুটে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এটি সরকারিভাবে অনুমোদিত এবং পুরোনো সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় মেটাতেই এই ব্যবস্থা।’
ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে ভোক্তা সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন বলেন,‘রেল স্বল্প আয়ের মানুষের সবচেয়ে সাশ্রয়ী পরিবহন। বারবার কৌশলে ভাড়া বাড়ানো সাধারণ মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। সরকার চাইলে রেলের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেই রাজস্ব বৃদ্ধি করতে পারে।’

