অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরে শেষটিতে অপরাজিত ফিফটিতে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভিরাট কোহলি, সেটিকে পূর্ণতা দিলেন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। এই তারকা ব্যাটসম্যান দুর্দান্ত ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ১২০ বলে, যার মধ্যে ১১ চার ও ৭ ছক্কা ছিল। ম্যাচে তিনি সর্বোচ্চ স্কোর এবং ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পেলেন।
রাঁচিতে ররিবার ৫০ ওভারে ভারত ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩২ রানে অলআউট হয় ৪ বল বাকি থাকতে। ভারত এই তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৭ রানে জয় পেয়েছে। দুই দল মিলিয়ে ৬৮১ রান হয়েছে, যা ওয়ানডে ইতিহাসে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৫ সালের ওয়াংখেড়ে ম্যাচে ৬৬২ রান।
ভারতের দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলির ১০৯ বলে ১৩৬ রানের জুটি ম্যাচে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। রোহিত ৫১ বলে ৫৭ রান এবং ভিরাট ১২০ বলে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ৫৬ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন।
কোহলির এই ইনিংসের ফলে তিনি ওয়ানডেতে সাচিন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করেছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও তার দখলে এসেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে কোহলির সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২।
দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম ৫ ওভারে হার্শিত রানা ও আর্শদিপ সিং ক্রমশ ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে দেন। কর্বিন বশ কিছুটা লড়াই দেখান, প্রথমে সুব্রায়েনের সঙ্গে, পরে বার্গারের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত জয় বশের একাই বাঁচাতে পারেননি।
ভারতের বোলিংয়ে কুলদিপ যাদাভ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। হার্শিত রানা ৩ এবং আর্শদিপ সিং ২ উইকেট নেন। তাদের বোলিং ছিল কিছুটা ব্যয়বহুল, রান প্রতি ওভারে ৬-এর বেশি।
এই জয় ভারতের জন্য বড় আত্মবিশ্বাস বয়ে এনেছে। আগামী বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডে রায়পুরে অনুষ্ঠিত হবে।

