একীভূত হওয়া সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ব্যাংকের আমানতকারীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কয়েকটি গণমাধ্যমে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে মার্জারের আওতাভুক্ত একটি ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হবে— এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা সঠিক নয়। মার্জারের আওতাভুক্ত পাঁচটি ব্যাংকের আমানতকারীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি শিগগিরই শুরু হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ বা সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, স্কিম কার্যকর হওয়ার পর যেসব আমানতকারীর হিসাবে দুই লাখ টাকা বা এর কম রয়েছে, তারা একবারেই পুরো টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর যাদের হিসাবে দুই লাখ টাকার বেশি রয়েছে, তারা প্রতি তিন মাস অন্তর সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়সী গ্রাহক কিংবা ক্যানসার বা জটিল রোগে আক্রান্ত আমানতকারীদের ক্ষেত্রে এই সীমা শিথিল থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা যেকোনো পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচটি ব্যাংকে বর্তমানে প্রায় ৭৫ লাখ আমানতকারীর মোট জমা রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। বিপরীতে এসব ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে।

