মাত্র ৫০০ টাকার জন্য ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৯৬১ রুপি মূল্যের সোনা বহন করছিলেন রিপন নামে এক যুবক। এ সোনা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল এক ভারতীয় নাগরিকের কাছে। তার আগেই বিএসএফ তাকে আটক করে। জব্দ করে সোনা। আটক রিপনের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। জব্দ সোনা ও আটক ব্যক্তিকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার তেঁতুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। রিপন গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন সোনা চোরাচালানের মূলহোতারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে চোরাচালানের সোনা প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। আবার বাংলাদেশ থেকে এসব সোনা পাচার হয়ে যাচ্ছে পাশের দেশ ভারতে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোকে সোনা চোরাকারবারিরা নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কখনো পায়ুপথে, কখন সোনার ডিম তৈরি করে কিংবা নেবুলাইজার মেশিনের ভিতরে করে নতুন নতুন কৌশলে বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালান করা হচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে গ্রেফতার হচ্ছেন বাহক। বাহকের মধ্যে প্রবাসী, বিমান ক্রু, পাইলটসহ নানা পেশার লোকজন রয়েছেন। চোরাচালানে জড়িত বাহকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয় না। মূলহোতারা সব সময় টাকার প্রভাবে থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসব ঘটনায় মামলা হলেও শনাক্ত হন না মূলহোতারা। টাকার লোভে পড়ে সোনা বহন করেন যারা, তারাই চাকরি হারিয়ে কারাগারে থাকেন অন্তরিন।