বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ৪৭৩ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। দীর্ঘ তিন বছরের প্রচেষ্টায় বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ সীমানায় মাছের প্রজাতির তালিকা করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। আর এ তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে ১১ প্রজাতির মাছ। শুধু তাই নয়, এসব প্রজাতি নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ অ্যালবাম প্রকাশ করেছে বিএফআরআই।
প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার সামুদ্রিক কেন্দ্র থেকে এ গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য গবেষকরা সহায়তা করেন। কক্সবাজার কেন্দ্রের প্রধান ড. শফিকুর রহমান জানান, প্রজাতি শনাক্তকরণে অনেক সময় আমাদের বেগ পোহাতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএনএ বার কোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তিনি আরও জানান, ইনস্টিটিউটটি বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ১১ প্রজাতির মাছের নতুন সন্ধান পেয়েছে।
৫৪ বছর পর এবারই প্রথম ছবিসহ ৪৭৩ প্রজাতির মাছের তালিকাভুক্ত করেছেন বিএফআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা। এতে মিঠাপানির ২৬১ প্রজাতির মাছসহ দেশের জলাশয়ে মাছের মোট প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩৪টিতে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ৪৭৩ প্রজাতির মাছের মধ্যে ২৭টি গণের (Genus) অন্তর্ভুক্ত ১২০টি পরিবারের মাছ রয়েছে। এতে ছয়টি গণের অন্তর্ভুক্ত ১৯টি পরিবারের ৯৫টি হাঙ্গর ও রে বা Elasmobranch প্রজাতি ও ১৯ গণের অন্তর্ভুক্ত ১০১ পরিবারের ৩৭৮টি মাছ বা Bony Fish প্রজাতি রয়েছে। ৪৭৩ প্রজাতির এসব মাছ নিয়ে ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছ’ শিরোনামে বাংলা ও ইংরেজিতে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউটটি।
বিএফআরআইর মহাপরিচালক জানান, প্রকাশিতব্য অ্যালবামটি বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও নীতিনির্ধারকদের সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি শনাক্তকরণ, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও সুনীল অর্থনীতিতে দেশের সমুদ্র সীমানায় মাছের প্রজাতির ধরন, প্রাচুর্যতা ও বিচরণস্থল সম্পর্কে সম্যক ধারণা এই অ্যালবাম থেকে পাওয়া যাবে।