টানা ৪২ দিন বন্ধ থাকার পর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ ও শুকনো সুপারি এসেছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ১২০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনো সুপারিবাহী ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘৪২ দিন ধরে মিয়ানমারের সঙ্গে এ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনো সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।’
স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এএসএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ৪২ দিনে প্রায় ১২৬ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।’
মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, ‘মিয়ানমারে আরও ৬০০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ পড়ে রয়েছে। দেশটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচে আরও ১৫ টাকা। এসব পিঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়।’
বিকেলে পিঁয়াজগুলো খালাস করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।