২ গোলে এগিয়ে থেকেও জয় পেল না ম্যান সিটি

0

প্রতিপক্ষের প্রবল প্রতিরোধ ভাঙতে পারল ম্যানচেস্টার সিটি। ফিল ফোডেনের জোড়া গোলে জয়ের সুবাসও পাচ্ছিল দলটি। কিন্তু এরপরই সব এলোমেলো হয়ে গেল। শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিগ চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিল ব্রেন্টফোর্ড।

প্রতিপক্ষের মাঠে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ফোডেনের নৈপুণ্যে দুই গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এরপর ইয়োয়ান মুসা ব্যবধান কমানোর পর ক্রিস্টিয়ানের গোলে ২-২ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। ২১ ম্যাচে ১০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে ষষ্ঠ স্থানেই আছে সিটি। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে ব্রেন্টফোর্ড।

গতিময় ফুটবল এবং আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস মেলে শুরুতেই। ২৭তম মিনিটে গোলও পেতে পারত সিটি। মাথেউস নুনেস ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে শট নিতে মুহূর্ত দেরি করেন এবং সেই সুযোগে ক্লিয়ার করে ব্রেন্টফোর্ড। পরের মিনিটে মাতেও কোভাসিচের শট জটলার মধ্যে দিয়ে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আবারও ভীতি ছড়ায় শিরোপাধারীরা; কিন্তু হতাশ করেন আর্লিং হলান্ড। কেভিন ডে ব্রুইনের পাস ধরে নরওয়ের স্ট্রাইকারের নেওয়া দুর্বল শট অনায়াসে আটকান গোলরক্ষক।

বিরতির পর দ্বিতীয় মিনিটে বিপদে পড়তে পারত সিটি। তবে ন্যাথান কলিন্সের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় তারা। খানিক বাদে পরপর দুই মিনিটে পরিষ্কার দুটি সুযোগ হারায় সফরকারীরা। সাভিনিয়োর শট পোস্টে বাধা পাওয়ার পর ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে হলান্ডের সোজাসুজি হেড সহজে রুখে দেন গোলরক্ষক।

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ৬৬তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ডেডলক ভাঙেন ফোডেন। ডান দিক থেকে ডে ব্রুইনের বক্সে বাড়ানো ক্রসে শূন্যে লাফিয়ে আলতো এক টোকায় বল জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার। ৭৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফোডেন। সাভিনিয়োর কোনাকুনি শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফেরার পর জোরাল পাল্টা শটে গোলটি করেন তিনি।

শুরু থেকে সমানতালে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকা ব্রেন্টফোর্ড চার মিনিট পর একটি গোল শোধ করে লড়াই জিইয়ে রাখে। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উঁচু শটেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ভিসা। এই গোলে নতুন একটি রেকর্ডও গড়েন ভিসা। প্রিমিয়ার লিগে ৩৭ গোল নিয়ে এখন তিনিই এককভাবে ব্রেন্টফোর্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা, ছাড়িয়ে গেলেন আইভান টনিকে (৩৬)। আর যোগ করা সময়ে গত চারবারের চ্যাম্পিয়নদের স্তব্ধ করে দেন ক্রিস্টিয়ান। সতীর্থের ক্রস বক্সে পেয়ে দারুণ হেডে গোলটি করেন ডেনিশ মিডফিল্ডার।

ব্যর্থতার জাল ছিঁড়ে লিগে টানা দুই এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন জয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিল সিটি। টানা চতুর্থ জয়ের জোরাল সম্ভাবনা জাগিয়ে এভাবে হোঁচট খাওয়াটা ভীষণ হতাশার। শেষ বাঁশি বাজার পর ডাগআউটে কোচ পেপ গার্দিওলা ও ব্রুইনে-হলান্ডদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে তীব্র হতাশা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here