পশ্চিম তীরের রামাল্লার ইসরায়েলি বন্দীশালা থেকে কাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী হুসেইন নাসের। তার ঘটনাটা একটু ব্যতিক্রমী। আবেগের বিশাল দরিয়া উতলে ওঠার মতো।
ধরপাকড় আর কারাবরণ ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন কিছু নয় বরং এটাই স্বাভাবিক এবং নিয়তি নির্ধারিত। তারপরও কিছু ঘটনা হৃদয়কে খুব বেশি নাড়া দেয়। কিছু টোকায় ভেঙে যায় আবেগের বাঁধ। তেমন ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন নাসের।
তার দুই মেয়ের সাথে তার দেখা হয়েছে দীর্ঘ ২২ বছর পর। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা মুক্তি আন্দোলনের সময় তাকে আটক করে ইসরায়েল বাহিনী।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হুসেইন নাসের ২২ ও ২১ বছর বয়সী মেয়ে হাদেয়া এবং রাগাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই তাদের নিজস্ব শহর নাবলুসের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন।
দুই তরুণী জানান, ‘বাবাকে ছাড়া তারা যেভাবে বেঁচেছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাবাকে জীবনের প্রথম বার স্পর্শ করতে যাচ্ছি। প্রথমবার তাকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছি।’
দুই তরুণী বলেন, যখন তার মা গর্ভবতী ছিলেন তখন ইসরায়েল বাহিনী তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। একজন বাবা কেমন হয় তা হয়তো এবার আমরা বুঝতে পারব।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী গতকাল ইসরায়েলি কারাগার নারী ও শিশুসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সামান্য অপরাধে অপরাধী ছিলেন। বাকীদের কোনো অপরাধ ছিল না। ইসরায়েল বাহিনী তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়।