ফুটবল বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর মাঠে গড়ানোর এখনও অনেক দেরি। অনেক জায়গায় এখনও এর বাছাইপর্বই শুরু হয়নি। তবে জাপানের সামনে খুলে গেছে চূড়ান্ত পর্বের টিকেট পাওয়ার দুয়ার। বাছাইয়ের আসছে ম্যাচে জিতলেই তিন স্বাগতিকের বাইরে প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে এশিয়ার দলটির।
৪৮ দলের প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে; কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে। এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার বাছাইপর্বে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে আছে জাপান। দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় ম্যাচের সবগুলো জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠে আসে তারা। আর এই ধাপে ছয় ম্যাচের পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে দলটি। এখানে কেবল গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্রয়ে দুইটি পয়েন্ট হারিয়েছিল তারা।
আসছে ম্যাচে বাহরাইনকে হারাতে পারলেই বাছাই উৎরে প্রথম দল হিসেবে তারা জায়গা করে নেবে মূল পর্বে। সবকিছু হাতের নাগালে থাকলেও কোনোকিছু নিশ্চিত ধরে নিতে চান না জাপানের কোচ হাজিমে মরিয়াসু। জাপানের চেয়ে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে গ্রুপের দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। আর সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে পরের চারটি স্থানে ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, বাহরাইন ও চীন।
বাছাইপর্বের তৃতীয় ধাপে দলগুলো তিনটি গ্রুপে লড়ছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল সরাসরি জায়গা করে নেবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। আর গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া ছয়টি দল চতুর্থ রাউন্ডে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে, সেখান থেকে দুই গ্রুপের সেরা দলও জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। আর গ্রুপ দুটির রানার্সআপ দল পঞ্চম রাউন্ডে লড়বে হোম-অ্যাওয়ে প্লে-অফে এবং বিজয়ী দল খেলবে ইন্টার-কনফেডারেশন্ প্লে-অফে।
‘এ’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইরান; ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। তাদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে উজবেকিস্তান। আর ‘বি’ গ্রুপে ছয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে দক্ষিণ কোরিয়া। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে ইরাক।