দীর্ঘ ১৯ বছর পর শনিবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জেলার শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে জেলাজুড়ে ক্ষমতাসীন দলের যুবসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পদপ্রত্যাশীদের বর্ণিল প্রচার-প্রচারনা, ব্যানার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে সড়ক ও সম্মেলনের স্থল। জেলা যুবলীগের সভাপতি হতে ৮জন এবং সাধারণ সম্পাদক হতে ১০জন কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইয়াসির আরাফাত রামিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাহিদুর রহমান রাজু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিহাব আহম্মেদ, ছাত্রনেতা কাজী আনোয়ার হোসেন রনি, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হাসান, ছাত্রলীগ নেতা জীবন বিশ্বাস, তোফাজ্জেল হোসেন ও এ কে এম রিপন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
যুবলীগের পদপ্রত্যাশীরা বলছেন, রাজবাড়ীতে যুবলীগের ৬টি ইউনিট রয়েছে। সম্মেলনে ১৭৮ জন কাউন্সিলর ও ১০হাজার ডেলিগেটর উপস্থিত থাকবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদকসহ বেশ কয়েকটি পদ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে সম্মেলন স্থল থেকে ঘোষণা করা হতে পারে। সেটি সম্ভব না হলে রাজবাড়ী পৌরসভার একটি হলরুমে দ্বিতীয় দফায় আলাপ-আলোচনা করে কমিটি ঘোষণার চেষ্টা করা হবে। পৌরসভার হলরুম যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু। সেটি সম্ভব না হলে ঢাকায় গিয়ে কমিটি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের একজন প্রার্থী বলেছেন, সাবেক যুবলীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি ঘোষণা করা উচিত। সেইসাথে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে সহ-সভাপতি ও যুগ্ন সম্পাদকসহ বেশ কয়েকটি পদ ঘোষণা করলে যুবলীগের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করলে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ইয়াসির আরাফাত রামিম বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রাজবাড়ীতে ক্লিন ইমেজের নেতা নির্বাচন করা হবে। কোনও মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী যুবলীগের কমিটিতে স্থান পাবে না। নতুন কমিটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।