ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে রাজপথে নামছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। শনিবার (০৫ আগস্ট) দলের প্রেসিডিয়াম এবং সংসদ সদস্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, সভায় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ ৯০ শতাংশ প্রেসিডিয়াম এবং সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে গণদাবি নিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। তবে অধিকাংশ সদস্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে ভোট না করে জোটগত ভোট করার পক্ষে মত দেন। জাতীয় পার্টি আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করবে না বিএনপির জোটে যাবে নাকি জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে জোট হবে সে সিদ্ধান্ত হবে সেপ্টেম্বরে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতির মাঠ। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আওয়ামী লীগ বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে অনড়। পাশাপাশি রাজপথে বিরোধী দলকে কোনো ধরনের ছাড় দিতে অনিচ্ছুক। বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। বিরোধী দলের ওপর পুলিশের অবস্থানও কঠোর। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দেশের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। জাতীয় পার্টির কর্মসূচি যেন আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, কোনো দলের পক্ষে না যায় সেজন্য নেতারা সজাগ রয়েছেন।
জানা যায়, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও জাপা তা চায় না। কেননা বিগত দিনগুলোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া কোনো দল লাভবান হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে উপনির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই নতুন ফর্মুলায় আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায় দলটি। সেজন্য একটি নির্বাচনী ফর্মুলাও তৈরি করছে জাপা।
এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমরা সংবিধান বুঝি না, তত্ত্বাবধায়কও বুঝি না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। আমরা ফর্মুলা দিতে পারি। দরকার হলে সব দলের কাছ থেকে ফর্মুলা নিয়ে বসে ঠিক করা যেতে পারে।