স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হলো আর্সেনাল। প্রথমার্ধেই মোইসেস কাইসেদোকে লাল কার্ডে হারিয়েও চেলসি লড়াই চালিয়ে যায় দুর্দান্তভাবে। শেষ পর্যন্ত দুই দলের দ্বন্দ্ব ১-১ গোলে ড্রয়ে শেষ হয়।
ট্রেভো শ্যালাবার হেডে এগিয়ে যায় চেলসি। পরে বুকায়ো সাকার ক্রসে মিকেল মেরিনোর গোল আর্সেনালকে সমতায় ফেরায়। এর ফলে চেলসির বিপক্ষে সবশেষ আট ম্যাচে অপরাজিত থাকলো আর্সেনাল; যার পাঁচটিতেই জিতেছে লন্ডনের উত্তর অংশের ক্লাবটি।
তবে ১০ জনের চেলসিকে হারাতে না পারাটা আর্তেতার দলের জন্য বড় হতাশা। এই ড্রয়ে শীর্ষে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানের ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমে এসেছে।
১৩ ম্যাচে ৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল। সিটি আছে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। আর ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি।
ম্যাচের শুরুতেই দু’টি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন এস্তেভোঁ। ২৯তম মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন জোয়াও পেদ্রোও। এসব নষ্ট সুযোগের মাঝেই ৩৬তম মিনিটে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন কাইসেদো। মনিটরে রিপ্লে দেখে রেফারি সরাসরি মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন তাকে।
১০ জন নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভালো খেলতে থাকে চেলসি। ৪৭তম মিনিটে পেদ্রোর হেড দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন দাভিদ রায়া। তবে কর্নার থেকেই রিস জেমসের অ্যাসিস্টে শ্যালাবা গোল করে দলকে এগিয়ে দেন।
কর্নার থেকে এ নিয়ে সাতটি গোল করলো চেলসি এই বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল, আট গোল নিয়ে।
মাত্র ১২ মিনিট পরই জবাব দেয় আর্সেনাল। ৫৯তম মিনিটে সাকার ক্রসে মেরিনোর নিখুঁত হেড ম্যাচে সমতা ফেরায়। গত মার্চে দুই দলের আগের সাক্ষাতেও বিজয়সূচক গোল করেছিলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৭৮তম মিনিটে আবারও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল চেলসি; কিন্তু লিয়াম ডেলাপকে প্রতিহত করেন রায়া। শেষ মুহূর্তে আর্সেনালও জয়ের সুযোগ পেয়েছিল; কিন্তু ইউরিয়েন টিম্বার ও মেরিনো কেউই গোল খুঁজে পাননি।
শেষ পর্যন্ত আর্সেনালের জন্য এটি ছিল সবশেষ তিন ম্যাচে দ্বিতীয় ড্র, আর চেলসির জন্য ১০ জন নিয়েও প্রাপ্ত মূল্যবান এক পয়েন্ট।