কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জোড়া খুন (সহোদর ভাই-বোন হত্যা) মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ অফিসের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
গ্রেফতার চারজন হলেন- নিহতদের চাচি ফরিদা ইয়াসমিন (৪১) এবং তার তিন ছেলে মো. ইমরান (২৬), আরমান মিয়া (১৮) ও অন্যজন অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৬ বছর ৬ মাস) হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি। তারা হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
তাদের অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হুমায়ুন কবীর, সালমান, নাদিরা ও শাহিদাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে নাদিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই মারা যান। আহত অন্যরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জানান, গত বুধবার বিকালে এই জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি মো. আব্দুল কাদির বিরোধপূর্ণ জমিতে চারাগাছ রোপণ করেন। তার বড় ভাই শামসুল ইসলাম সেখান থেকে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে পুনরায় অবশিষ্ট চারা রোপণ করতে গিয়ে আসামিরা দেখেন, আগের দিনের লাগানো চারাগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। তখন আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুলের বাড়িতে গিয়ে চারাগাছ উপড়ে ফেলায় গালিগালাজ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিনই নিহতদের চাচি ফরিদা ইয়াসমিনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া শনিবার (১৫ জুলাই) আসামি ইমরানকে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ এলাকা থেকে এবং আরমান ও তার ছোট ভাইকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।