চেক প্রজাতন্ত্রের টেলিভিশন উপস্থাপক ও ইনফ্লুয়েন্সার কামিল বারতোশেক ‘কাজমা’ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ‘ডলার বৃষ্টি’ তৈরি করেছেন। লাইসা ন্যাড লাবেম শহরে ১০ লাখ ডলার ছুঁড়ে ফেলেন তিনি যা শহরের বাসিন্দারা এক ঘণ্টার মধ্যে সংগ্রহ করেন।
মূলত ‘কাজমা’ নামে পরিচিত এই চেক ইনফ্লুয়েন্সার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিলিয়ে দিয়ে মানুষকে হতবাক করেন।
এরপরই হেলিকপ্টার থেকে ডলার ছড়ানোর পরিকল্পনা করেন কাজমা। তিনি চিন্তা করেন, এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সবার মাঝে অর্থ বিলিয়ে দেবেন।
এক ঘোষণায় বলা হয়, কয়েক দিনের মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর দিয়ে একটি কার্গো হেলিকপ্টার উড়ে যাবে। হেলিকপ্টারের তলার দিকে একটি কনটেইনারের ভেতর ১০ লাখ ডলার থাকবে। কনটেইনারের নিচে থাকবে একটি দরজা। চেক প্রজাতন্ত্রের যেকোনো জায়গায় কনটেইনারটির দরজা খুলে যাবে। যারা তাদের কার্ড চালু করেছেন, তারাই শুধু কয়েক ঘণ্টা আগে জানতে পারবেন কখন ও কোথায় দরজাটি খুলবে।
একদিন সকাল ছয়টার দিকে প্রতিযোগীদের কাছে ই–মেইল করেন কাজমা। ই–মেইলে এনক্রিপ্টেড করা তথ্যে বলা ছিল কোথায় কাজমা ডলারগুলো ফেলবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হেলিকপ্টার থেকে ডলারগুলো ফেলেন তিনি।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন কাজমা। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, বিশ্বে প্রথমবারের মতো সত্যিকারের ডলারের বৃষ্টি হলো! চেক প্রজাতন্ত্রে একটি হেলিকপ্টার থেকে ১০ লাখ ডলার নিচে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আকাশ থেকে যখন ডলারের বৃষ্টি ঝরছিল, তখন অনেক মানুষ মাঠে জড়ো হয়েছিলেন। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন ব্যাগ নিয়ে একটি মাঠের মধ্যে দৌড়াচ্ছেন এবং যতটা সম্ভব বেশি ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। অনেকে সহজে অর্থ বহনের জন্য ছাতাও ব্যবহার করেছেন।
কাজমা জানান, চার হাজার মানুষ ওই অর্থগুলো সংগ্রহ করেছেন। সূত্র: এনটিভি