ইউক্রেনের সব দুয়ারই যেনো বন্ধ হয়ে আসছে। প্রথম দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারলেও এখন রীতিমতো খাবি খাচ্ছে দেশটি। অনেক জায়গা থেকে তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে দেশটির সেনারা। রাশিয়ার ভয়াবহ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি ধারণা করেছিলেন, মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভের পতন হবে। এক্ষেত্রে মার্কিন নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিল।
এক বছর আগে ইউক্রেনের অবস্থা বর্তমানের চেয়ে বেশ ভালো ছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এমনকি সফল পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন সামরিক বাহিনী দক্ষিণাঞ্চল পুনরুদ্ধার করে। জেলেনস্কি তখন আসন্ন বছরটিকে ‘অপরাজেয়’ বলে ঘোষণা করেন। তাদের ভরসা ছিল যুক্তরাষ্ট্র বড়সর সহায়তা করবে। তবে সময়ের সাথেই চুপসে যায় সে আশার বেলুন। এখন ইউক্রেন আছে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে।
ইউক্রেন এই মুহূর্তে মানসিকভাবে ক্লান্ত। তারা রাশিয়ার বাহিনীর চেয়ে সংখ্যার দিক থেকেও অনেক পিছিয়ে। ফলে কিয়েভকে নতুন সেনা মোতায়েনের কথা ভাবতে হচ্ছে। যদিও সে কাজে খুব একটা অগ্রগতি নেই।
মার্কিন সহায়তা পেলে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য হবে। এমনকি এফ-১৬ ফাইটার জেট পেলেও তা খুব একটা কাজে আসবে না। কারণ এই বিমানের জন্য মসৃণ রানওয়ে দরকার। তা এখন আর ইউক্রেনের নেই। এদিকে সামনে মার্কিন নির্বাচন, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যেও বিপাকে আমেরিকা। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বের জায়গাতেও আর ইউক্রেন সেভাবে নেই। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ন্যাটোর খুঁটির জোরও ইউক্রেনের থাকবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। ফলে অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন কিয়েভের পতন এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
সূত্র: দ্য হিল