ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি খুলনা টাইগার্স।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা টাইগার্স। ৪২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে রক্ষা করেন হেটমায়ার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৭৩ রান। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় অঙ্কনকে থামান শরিফুল। শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪১ রান। শেষ পর্যন্ত হেটমায়ারের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৬ বলে ২ রান করে আউট হন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এদিন ব্যাট হাতে লড়তে পারেননি নাঈম শেখও। ১৯ বলে ২২ রান করে খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হন তিনি। তিনে নেমে ডাক মারেন অ্যালেক্স রস। চারে নামা আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।
পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়েন হেটমায়ার ও অঙ্কন। ৫০ বলে তারা গড়েন ৭৩ রানের জুটি। অঙ্কনকে ৪১ রানে বিদায় করে জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তবে ২৯ বলে পঞ্চাশ হাঁকানো হেটমায়ার লড়তে থাকেন ব্যাট হাতে। যদিও ৬৩ রানের বেশি করতে পারেননি ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। তার ৩৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। শেষদিকে ৫ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার।
চিটাগংয়ের পক্ষে দুটি উইকেট নেন বিনুরা ফার্নান্দো। একটি করে পান শরিফুল, আলিস আল ইসলাম, খালেদ ও আরাফাত সানি।