হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এই গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনো উপায় না পেয়ে হুথিদের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বাহিনী।
তবে মার্কিন হামলায় হুট করে উড়ে যাবে হুথি এমন ছোটোখাটো বাহিনী নয়। হুথিদের কাছেও আছে বেশ কিছু শক্তিশালী অস্ত্র। কামিকাজে ড্রোন থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে হুথির ভাণ্ডারে। এছাড়াও আছে হেলিকপ্টার, ছোটোখাটো জাহাজও।
হুথিদের আবির্ভাব ১৯৯০ এর দশকে। কিন্তু ২০১৪ সালে ইয়েমেনের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মধ্যে দিয়ে এ গোষ্ঠীর একটি শক্ত অবস্থান তৈরি হয়।
এর পরে গোষ্ঠীটি ইরানের সমর্থনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে লড়াই চালায়। যদিও এই সময়ে উভয়পক্ষই শান্তি আলোচনার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শিয়া দলটিকে ইরানের প্রতিরূপ হিসেবে দেখা উচিত নয়। এদের নিজস্ব ভিত্তি, স্বার্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে।