সারা শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হিমোগ্লোবিন। এর মাত্রার ঘাটতি রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা এবং ফ্যাকাশে ত্বকের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকারের মধ্যে গুড় এবং চিনাবাদাম হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতার জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
হিমোগ্লোবিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
হিমোগ্লোবিন মূলত আয়রন দিয়ে গঠিত, যা অক্সিজেন বন্ধনের জন্য অপরিহার্য। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়রনের ঘাটতি, দুর্বল পুষ্টি, রক্তক্ষরণ বা ইন্টার্নাল মেডিকেল কন্ডিশনের কারণে ঘটে। খাদ্যের মাধ্যমে আয়রন গ্রহণ বৃদ্ধি করা প্রাকৃতিকভাবে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি।
আখ বা তালের রস থেকে তৈরি অপরিশোধিত চিনি, গুড়, প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর, বিশেষ করে আয়রন। আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি চমৎকার খাদ্যতালিকাগত পরিপূরক হিসাবে বিবেচিত হয়।
জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গুড় খেলে তা রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত কিশোরী মেয়েদের মধ্যে আয়রনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গুড় কীভাবে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে-
আয়রন সমৃদ্ধ
গুড় হলো নন-হিম আয়রনের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে এবং শরীরে অক্সিজেন সঞ্চালন উন্নত করে।
আয়রন শোষণে সহায়তা করে
পরিশোধিত চিনির বদলে গুড় খান। গুড় তার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ধরে রাখে, যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খেলে আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
শরীরকে বিষমুক্ত করে
গুড় খেলে তা লিভারকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং টক্সিন বের করে দেয়। এটি উন্নত সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং উন্নত রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করে। তাই যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব রয়েছে তারা নিয়মিত গুড় খাওয়ার চেষ্টা করুন।