দিনাজপুরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট বীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল। হাসপাতালে প্রবেশমুখে রয়েছে পুরোনো বড় বট গাছ। এরপর হাসপাতালের সামনে, ভিতরের করিডোরসহ প্রতিটি ফাঁকা জায়গায় রয়েছে বিভিন্ন রং-বেরঙের ফুলের গাছ। পেছনে পরিত্যক্ত জায়গায় রয়েছে বিভিন্ন জাতের গাছসহ ফুলের বাগান। স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়াও বিভিন্ন জাতের দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান সেবা নিতে আসা রোগীসহ সবার মাঝে প্রকৃতির প্রশান্তির ছোঁয়া ছড়িয়ে দেয়। এ হাসপাতালে আরও রয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি, শিশু কর্নার ও ব্রেস্ট কর্নার। প্রসূতি নারীদের স্বাভাবিক প্রসবে দৃষ্টান্তসহ বিভিন্ন সেবায় হাসপাতালটি পেয়েছে নানা পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
এখানে সেবা নিতে আসা শিবরামপুর ইউপির দেউলি গ্রামের মো. রুবেল মিয়া জানান, ‘সেবার মান ভালো। সব সময় পরিষ্কার থাকে কক্ষগুলো। সবচেয়ে ভালো লাগে ফুলের বাগান। সকালে ঘুম ভেঙে বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন ফুলের বাগানের দিকে তাকিয়ে থাকি তখন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। নিজেকে আর অসুস্থ মনে হয় না।’
দর্শনার্থী আবদুর রাজ্জাক ও ফরহাদ হোসেন জানান, এখানে রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি, দক্ষ চিকিৎসক। বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হলে এটি জেলার সবচেয়ে ভালো সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবেন। সব হাসপাতালে এ ধরনের পরিবেশ থাকা উচিত।’
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের পরও রোগীদের সব রকমের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ২০২০ সালে সারা দেশে আটটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বাভাবিক নিরাপদ প্রসব করানোর ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও কিছু পুরস্কার পেয়েছে হাসপাতালটি।