শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যায় হানিফ (২৫) নামের এক যুবক। সেখানে চিকিৎসক তাকে প্রেসক্রিপশনে দুটি ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু ওষুধ না খেয়ে হাসপাতালে এক দালালে পরামর্শে একটি ব্যথানাশক ইনজেকশন কিনে শরীরে পুশ করেন ওই যুবক। এত গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যায় ওই যুবক।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসাপাতালে। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের অভিযুক্ত চিহ্নিত দালাল ইয়ামিন শান্ত পালিয়ে গেছে। মৃত হানিফ (২৫) ফতুল্লা থানাধীন পঞ্চবটি এলাকার কাশেম মাদবরের ভাড়াটিয়া আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
তিনি অভিযোগ করে জানান, আমার ভাইকে ভুল পুশ করিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকের কামড়ার সামনে কি করে দালালরা দাঁড়িয়ে থাকে? এ বিষয়ে কী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করণীয় কিছু নেই। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক বলেন, বিষয়টি হাসপাতালে ঘটেনি। রোগী শরীর ব্যথা নিয়ে এখানে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ওই সময় বহিঃর্বিভাগে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার নাসরিন সুলতানা তাকে ব্যবস্থাপত্রে দুটি ওষুধ লিখে দেন। ব্যবস্থাপত্রে কোনো ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। রোগী কেন তার শরীরে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিলেন?