এক সময় বেদেদের নৌকায় ছিলো বসবাস। মূল পেশা ছিল সাপের খেলা দেখানো, তাবিজ বিক্রি, সিঙ্গা লাগানো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এ সব পেশা। এখন আর তেমন চোখে পরে না এ খেলা। অনেকেই পরিবতন করে লেখাপড়াসহ বিভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছে। নতুন স্বপ্ন দেখছেন তারা, শিশুরাও মনোযোগী পড়াশোনায়।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কৃত্তি নাসা নদীর তীর ঘেঁষে রয়েছে বেদে পল্লী। পঁচিশ বছর ধরে স্থানীয় ভাবে জমি ক্রয় করে বসবাস করছে ২৬০টি পরিবারে প্রায় ৮০০ মানুষ। বেদে পল্লীর অনেক শিশুই এখন পড়াশোনা করছে। নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে অনেকেই। অভিভাবকরাও চান তাদের সন্তান পড়াশোনা করে বড় হোক। পুরানো এ পেশায় আনতে চান না তারা। পুরনো পেশা পরিবর্তন করে নতুন পেশা বেছে নিয়েছে অনেকে, ইট ভাটায় ও মাটি কাটা রিকশা চালানো কৃষি কাজসহ নানা পেশায় যুক্ত হয়ে সংসার চালাচ্ছেন তারা।
বেদে পল্লীর সরদার আব্দুল ছাত্তার বলেন, আমার পল্লীর শিশুরা এখন পড়াশোনা করে, বেদেরা নানা কাজ করে সংসার চালায়। আমি বেদেদের ঘরে বসে না থেকে, কাজ কারার পরামর্শ দেই। বেদেরা যেন অন্যায় কোনো কাজে লিপ্ত না হতে পারে তার খোঁজখবর রাখি।
এদিকে বেদেদের বিভিন্ন সহায়তা ও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেনন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।