হামাস সম্মতি দিলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ট্রাম্প

0
হামাস সম্মতি দিলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ট্রাম্প

হামাস সম্মতি দিলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, ইসরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহার সীমারেখায় যেতে সম্মত হয়েছে এবং হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে।

মূলত প্রাথমিক প্রত্যাহার সীমারেখায় ইসরায়েলের এই সম্মত হওয়াকে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের পথে বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।

রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

এর আগে শনিবার হামাসও জানায়, “আলোচনার পর ইসরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহার সীমারেখায় সম্মতি জানিয়েছে। আর এটি আমাদের দেখানো ও জানানো হয়েছে।”

এরপর ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, “হামাস নিশ্চিত করলে যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে, শুরু হবে বন্দি ও কয়েদি বিনিময় এবং পরবর্তী ধাপের সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। আর এটিই আমাদেরকে তিন হাজার বছরের এই বিপর্যয়ের অবসানের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে।”

এর আগে গাজায় বন্দিমুক্তি ও শান্তিচুক্তির আলোচনা সফল করতে ট্রাম্প হামাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ইসরায়েল অস্থায়ীভাবে বোমাবর্ষণ বন্ধ করেছে, যাতে বন্দিমুক্তি ও শান্তিচুক্তির সুযোগ তৈরি হয়। হামাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, নইলে সব কিছুই ভেস্তে যাবে।”

এর একদিন আগেই হামাস ঘোষণা দিয়েছিল, তারা জীবিত ও মৃত সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত এবং গাজার প্রশাসন একটি স্বাধীন, প্রযুক্তিনির্ভর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করতে রাজি। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছে, গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার একটি বৃহত্তর জাতীয় কাঠামোর মধ্যেই নির্ধারিত হতে হবে।

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা অঞ্চল, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় সব অধিবাসী। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here