ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর যুদ্ধে নেমেছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে হাজারও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকালে হামাসের হামলার পর গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা চালিয়েছে। এতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৩ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি।
শনিবার সকালে হামাস ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ে। হামাস ইসরায়েলে চালানো এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’।
হামাসের হামলায় সক্রিয় হয় ‘আয়রন ডোম’। দাবি করা হয় ‘আয়রন ডোম’ বিশ্বের অন্যতম সেরা ও অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এটি ভূমি থেকে আকাশে ছোড়ার একটি স্বল্পপাল্লার (শর্ট রেঞ্জ) আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। স্বল্পপাল্লার রকেট, মর্টার, আর্টিলারি শেল ও ড্রোন হামলা মোকাবিলা করতে পারে আয়রন ডোম।
ইসরায়েলের এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পরিসীমা প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এ ব্যবস্থায় তিনটি কেন্দ্রীয় উপাদান আছে, যা নিয়ে একটি আয়রন ডোম ইউনিট গঠিত।
আয়রন ডোম ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় উপাদান তিনটি হলো-রাডার ব্যবস্থা (ডিটেকশন-ট্র্যাকিং রাডার), কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট-উইপনস কন্ট্রোল) ও মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থা। প্রতিটি মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থায় ২০টি তামির ক্ষেপণাস্ত্র থাকে।
হামাসের ছোড়া রকেট মাঝ আকাশে ধ্বংস করতে থাকে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’। একের পর এক রকেট ধ্বংসের ফলে আকাশ অগ্নিশিখায় আলোকিত হয়। আকাশে তৈরি হয় এক নাটকীয় দৃশ্য।
তবে এবার হামাসের রকেট হামলার মাত্রা ছিল নজিরবিহীন। তাই গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট ইসরায়েলের আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়। এ কারণে ইসরায়েলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।
গাজা উপত্যকার কাছে অন্তত ২২টি স্থানে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলিদের লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র : বিবিসি।