ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির (ডিএফডি) চেয়ারম্যন হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেছেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য এক মর্মান্তিক কালো অধ্যায়। হাদির হত্যাকারীরা ইতিহাসে কাপুরুষ হিসেবে ঘৃণিত হয়ে থাকবে।
শুক্রবার এফডিসিতে কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আসন্ন নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। হাদির রক্ত বৃথা গেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ব্যর্থ হবে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো হুমকি—ধামকি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে হাদিকে হত্যা করা হয়। হাদি হত্যাকাণ্ডের পর জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবি উঠেছে।
তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর সরকার এসএসএফের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হাসান কিরণ আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ৪০ শতাংশ তরুণ ভোটার। বিগত তিনটি নির্বাচনে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তরুণ ভোটাররাই আগামী নির্বাচনে জয়—পরাজয়ের বড় ফ্যাক্টর। এবারের নির্বাচনে জয়—পরাজয় নির্ধারণে তরুণ ভোটাররাই হবে ট্রামকার্ড। তরুণরা কোন বাক্সে ভোট দেবে তা নিয়ে তারা এখনো দোদুল্যমান।
ছায়া সংসদে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সাংবাদিক কাজী হাফিজ, মো. আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন লিটন, কাজী জেবেল ও মো. আতিকুর রহমান।
ছায়া সংসদে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজকে পরাজিত করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

