হাঁড়িভাঙায় স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

0

সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড দাবদাহ। এই অবস্থায় রংপুরের ঐতিহ্য হাঁড়িভাঙা আম রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সম্প্রতি হাঁড়িভাঙা আম জিআই সনদ পাওয়ায় এই আমের চাহিদা বিগত বছরের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করছেন চাষিরা। 

এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রধানকে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম উপহার পাঠিয়েছিলেন। এতে হাঁড়িভাঙা আমের সুখ্যাতি আরও ছড়িয়ে পড়ে। 

স্থানীয় কৃষি অফিসের মতে- হাঁড়িভাঙা আম গাছ থেকে সংগ্রহ শুরু হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে। তবে প্রচন্ড গরম কিংবা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে নির্ধারিত সময়ের সপ্তাহখানেক আগেও বাণিজ্যিকভাবে এই আম বিক্রি করতে পারবে আম চাষিরা। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবে হলে শুধু হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করে রংপুরের চাষিরা ২০০ কোটি টাকার ওপর ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছেন কৃষি অফিস।

শ্যামপুর এলাকার আম চাষি মানজারুল ইসলাম বলেন, গরমে আমের তেমন একটা ক্ষতি না হলেও আমরা সব সময় আম গাছ পরিচর্যা করছি। যাতে আমের ফলন বিপর্যয় না হয়। বর্তমানে আমের বয়স প্রায় ৩ মাস হয়েছে। আর দেড় মাসের মধ্যে আম ঘরে তুলতে পারব।

রংপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। গত বছর প্রতি হেক্টরে সব প্রজাতির আমের ফলন হয়েছিল গড়ে ৯ দশমিক ৪ মেট্রিক টন। হাঁড়িভাঙার উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে প্রায় ১২ টন। 

এবার আশা করা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে ফলন বেশি হবে। সেই হিসাবে শুধু হাঁড়িভাঙা উৎপাদন হতে পারে ১৫ হাজার মেট্রিক টনের ওপর। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম থাকলে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, গরমের কারণে আমের ক্ষতি হয়নি। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাঁড়িভাঙা আম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here